• ঢাকা
  • শনিবার:২০২৩:সেপ্টেম্বর || ১৫:৩১:৫৪
প্রকাশের সময় :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
২:১৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
২:১৪ অপরাহ্ন

৩৯৫ বার দেখা হয়েছে ।

একাত্তরে গণহত্যার স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র

একাত্তরে গণহত্যার স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বে গণহত্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন একাত্তরে বাংলাদেশিদের ওপরে পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড বা গণহত্যা’বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর এই স্বীকৃতির জন্য গত ১৫ নভেম্বর আবেদন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় নতুন বছর শুরুর ক্ষণে তাকে ওই ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে আইরিন ভিক্টোরিয়া মাসিমিনো এক ই মেইলে স্বীকৃতির বিবৃতি পাঠান।

এর মধ্য দিয়ে একাত্তরের পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রেও গণহত্যার স্বীকৃতি পেল এবং এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো।

এক বার্তায় তৌহিদ রেজা নূর এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আমি খুবই আনন্দিত। সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষের জন্য এক বিশাল অর্জন ও প্রাপ্তি।

“এর মধ্যে অপরাপর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোও একাত্তরের গণহত্যাকে একে একে স্বীকৃতি দেবে বলে আমার বিশ্বাস।”

উল্লেখ্য, পোলিশ রাফায়েল লেমকিনের নামানুসারে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইডের নামকরণ করা হয়, যাকে ‘জেনোসাইড’ বা ‘গণহত্যা’ শব্দটির উদ্ভাবক বলা হয়।

২৩ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। তারপর নয় মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে প্রতিরোধ যুদ্ধেও নামে বাঙালিরা। রক্তক্ষয়ী সেই সংগ্রামের পথ ধরে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩ আগস্ট এর আগে একাত্তরে বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রস্তাব পাস করতে আরেকটি জেনোসাইড বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল জেনোসাইড স্কলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএজিএস) প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

তথ্য প্রযুক্তির যুগে জেনোসাইড ও এর নিবৃত্তি: একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই আহ্বান জানানোর কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএজিএস প্রেসিডেন্ট মেলানি ও‘ব্রায়েনের কাছে প্রস্তাবের খসড়া পাঠান একাত্তরে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে তৌহীদ রেজা নূর।

উল্লেখ্য, একাত্তরে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতির দাবি, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবি সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ‘রুখে দাড়াও বাংলাদেশে’র মতো কিছু সংগঠন তাদের দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *