• ঢাকা
  • শুক্রবার:২০২৩:ডিসেম্বর || ১৯:০৫:৪৩
প্রকাশের সময় :
এপ্রিল ১৩, ২০২২,
১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
এপ্রিল ১৩, ২০২২,
১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

৩৯৬ বার দেখা হয়েছে ।

কম বয়সে যৌনকর্মী ছিলেন রাশ্মিকা

কম বয়সে যৌনকর্মী ছিলেন রাশ্মিকা

রাশ্মিকা মান্দানা, আপাতত নামটাই যথেষ্ট। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর নায়িকার এই বিপুল জনপ্রিয়তার কারণ তার অভিনয় দক্ষতা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। নেটমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। আপাতত তিনি ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’ বলে বিবেচিত হচ্ছেন।

 

রাশ্মিকা মানেই এখন বক্স অফিসে সাফল্য, একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে রাশ্মিকার অনুরাগীর সংখ্যা। রাশ্মিকাকে একবার সামনে থেকে দেখার জন্য ৯০০ কিলোমিটার দূর থেকে কর্ণাটকে এসেছিলেন এক অনুরাগী।

 

কিন্তু জীবনের পথ কি এমনই পুষ্পে ভরা? এত ভালবাসার মধ্যেও রয়েছে কিছু ঘৃণা, কটাক্ষ। নেটমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হওয়া খ্যাতনামীদের কাছে আজ এক নৈমিত্তিক ঘটনা। জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খ্যাতনামীদের সমান তালে ট্রোলড হতে হয় ছোট ছোট নানা কারণে। রাশ্মিকাও এর ব্যতিক্রম নন। সুদক্ষ অভিনেত্রী এবং সুন্দরী হলেও তাকে নেটমাধ্যমে কটাক্ষ বা বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে।

কিন্তু ক্রমাগত এই কটাক্ষ, ঘৃণা, উপহাসের মধ্যেও ভাল থাকার চাবিকাঠি খুঁজে নেওয়া সত্যিই কি সহজ? সব সময় হয়তো সম্ভব হয় না বাইরের কিছু মানুষের অহেতুক আক্রমণ উপেক্ষা করে নিজের মনের সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ করে ভাল থাকার।

 

দিনের পর দিন কটাক্ষের কারণে রাশ্মিকা মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি শরীর নিয়ে কটাক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ট্রোলিং কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে বিঘ্নিত করে, তা জানিয়েছেন রাশ্মিকা।

শরীর নিয়ে বাঁকা মন্তব্য এবং ট্রোলিং সম্পর্কে রাশ্মিকার বক্তব্য- ক্রমাগত যখন নিজের দেহ, নিজের গায়ের রং, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, বিদ্রূপ করা হয়, তখন তার মনে হতে থাকে, জনতার সামনে যেন নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

 

শুধু শরীর সম্পর্কে বিদ্রূপ করেই থেমে থাকেননি কটাক্ষকারীরা। রাশ্মিকা জানান, তার পরিবার, ব্যক্তিজীবন, এমনকি তার স্কুল এবং সামগ্রিক বেড়ে ওঠা সমস্ত কিছুকে ট্রোল করা হয়েছিল।

একাধিকবার রাশ্মিকাকে ট্রোল করা হয়। কখনো হট প্যান্ট পরার জন্য, কখনো অন্তর্বাস নিয়ে। এক বার গাড়ি থেকে নামার সময় মাস্ক পরতে ভুলে গেছিলেন রাশ্মিকা। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই মনে পড়ে এবং মাস্ক পরেন কিন্তু ততক্ষণে ট্রোলারদের শিকার হয়ে গিয়েছেন তিনি।

কম বয়সের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন রাশ্মিকা। সেখানেই একজন মন্তব্য করেন ‘দাগার’, কন্নড় ভাষায় যার অর্থ ‘যৌনকর্মী’।

রাশ্মিকা তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন এবং বলেন, কোনো ব্যক্তিকে এই ধরনের কুরুচিকর আক্রমণ করা উচিত নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন অভিনেতাদের এই ধরনের আক্রমণ করে কী লাভ হয়? শুধুমাত্র জনপ্রিয় বলেই কি একজনকে যা ইচ্ছে বলা যায়?

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, কাজ নিয়ে সমালোচনা করুন। প্রত্যেক পেশার সম্মান আছে। অহেতুক পরিবার বা ব্যক্তিজীবন নিয়ে নোংরা মন্তব্য করবেন না। প্রত্যেককে সম্মান করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *