• ঢাকা
  • শুক্রবার:২০২৩:ডিসেম্বর || ২০:৪২:১৩
প্রকাশের সময় :
এপ্রিল ১২, ২০২২,
৮:৩০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
এপ্রিল ১২, ২০২২,
৮:৩০ অপরাহ্ন

২৭ বার দেখা হয়েছে ।

‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, বিকাশের এজেন্ট গ্রেফতার

‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, বিকাশের এজেন্ট গ্রেফতার

একের পর এক মিটার চুরি। আর মিটারের স্থলে রেখে দেওয়া হয় চিরকুট। চিরকুটে লেখা থাকে বিকাশ নম্বর। একই সঙ্গে উল্লেখ থাকে ওই নম্বরে টাকা পাঠালেই মিলবে চুরি হওয়া মিটার। অবশেষে নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল ওই চক্রের একজন। পেশায় তিনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের এজেন্ট। তবে আড়ালে তিনি মিটার চোরচক্রের অন্যতম সদস্য।

 

গ্রেফতার ৩৮ বছর বয়সী তরিকুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার বিকেলে বগুড়া সদরের শাখারিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গেছে, সম্প্রতি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বাড়তে থাকে মিটার চুরির ঘটনা। গত সাড়ে তিন মাসে চুরি হয় ৪০টি মিটার। শুধু চুরিতেই সীমাবদ্ধ নয় ওই চক্র। টাকা হাতিয়ে নিতে বেছে নেয় অভিনব কৌশলও। মিটার চুরির পর ওই স্থানেই রেখে আসা হয় চিরকুট। সেখানে লেখা থাকে বিকাশ নম্বর ও বলা হয় টাকা পাঠালে ফেরত দেওয়া হবে মিটার। চিরকুটে থাকা নম্বরে অনেকে টাকা পাঠিয়েও ফেরত পাননি মিটার।

 

৩৫ বছর বয়সী রানা। পেশায় তিনি কৃষক। গাবতলী নেপালতলী ইউনিয়নের কালুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। একই গ্রামে তার ফসলি জমির সেচ ঘরের পাশে বৈদ্যুতিক পোল থেকে তার চারটি মিটার চুরি হয়। চক্রের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়েও তিনি ফেরত পাননি মিটার। পরবর্তীতে থানায় মামলা করেন তিনি।

রানার করা মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর পর্যন্ত কালুডাঙ্গা গ্রামের ফসলি জমির সেচপাম্পের ঘরের পাশ থেকে তার চারটি মিটার চুরি হয়। একই সঙ্গে মিটারের স্থলে রেখে যাওয়া হয় চিরকুট। সেখানে একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। চিরকুটে লেখা ছিল চুরি হওয়া মিটার ফেরত পেতে হলে ওই নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। চোরচক্রের রাখা চিরকুট দেখে মিটার ফেরত পাওয়ার আশায় আট হাজার টাকা পাঠান তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে মুঠোফোনে জানানো হয় আরো টাকা দিতে হবে। নইলে মিটার ফেরত দেওয়া হবে না।

 

অবশেষে ওই চক্রের সন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। চুরি যাওয়া একটি মিটার স্থলে রেখে দেওয়া চিরকুটে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই চলে তাদের অভিযান। ধরা পড়ে চক্রের অন্যতম সদস্য তরিকুল।

গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, তরিকুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *