• ঢাকা
  • শুক্রবার:২০২৩:ডিসেম্বর || ১৮:০০:২২
প্রকাশের সময় :
মে ১৮, ২০২২,
৬:১৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
মে ১৮, ২০২২,
৬:১৪ অপরাহ্ন

৪১৩ বার দেখা হয়েছে ।

ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়ার সময় যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন

ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়ার সময় যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফল হলো আম। কাঁচা থেকে শুরু করে পাকা আম, চাটনি থেকে জ্যাম, জেলি কত কী তৈরি হয় এই আম দিয়ে! তবে পাকা আম খাওয়ার জন্য কিছু তৈরি না করলেও চলে, এটি এমনিতেই অনেক সুস্বাদু। সুমিষ্ট ও রসালো এই ফল প্রায় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। কিন্তু মিষ্টি স্বাদের বলে সবার আগে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, ডায়াবেটিসর রোগীরা কি আম খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম কি নিরাপদ?
আমের ৯০ শতাংশ ক্যালোরির উৎস কেবল চিনি। যে কারণে অতিরিক্ত আম খেলে বেড়ে যেতে পারে রক্তে চিনির মাত্রা। এদিকে আম কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই এটি কমিয়ে আনতে পারে রক্তে শর্করার প্রভাব। একটি আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১, যা কম হিসাবেই ধরা হয়।
আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। স্ট্রেস কিন্তু রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই স্ট্রেস কমলে কমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও। এদিকে আমে থাকা ফাইবার কমিয়ে দেয় রক্তে চিনি শোষিত হওয়ার হার। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আম খেতে পারবেন।

ডায়বেটিসের রোগীরা আম খাবেন যেভাবে
পরিমিত মাত্রায় আম খেলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার করে। এতে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে যা ডায়াবেটিসর রোগীদের জন্য ভালো। তবে খেয়াল রাখবেন আম যেন একদম তাজা হয়। কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। খেতে যতই ইচ্ছা করুক, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে দিনে ২-১ টুকরার বেশি আম খাবেন না। ছোট ছোট টুকরা করে সালাদের মতো করেও খেতে পারেন।

আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে আছে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। এতে আছে ভিটামিন এ, বি ফাইভ, বি সিক্স, সি, ই এবং কে। সেইসঙ্গে আছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। সুমিষ্ট এই ফলে ক্যালোরি অনেক কম। আমে ভিটামিন সি থাকায় এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আম খেলে শরীরে আয়রণ শোষণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর প্রায় ৭০ শতাংশই পাওয়া যাবে আম খেলে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও প্রিয় ফলটি থেকে তো দূরে থাকা যায় না। তাই এটি খেতে হলে নিশ্চিত করুন যেন আপনার চিনি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেজন্য স্বাস্থ্যকর ও ফাইবার সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *