
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদীতে জামাইয়ের কিল-ঘুষিতে শ্বশুর নিহত হওয়ার ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাতে জেলার গৌরনদী মডেল থানায় নিহতের ছেলে মিরাজ মৃধা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত শ্বশুর হারুন মৃধার (৬০) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত হারুন মুলাদী উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের বিষাই মৃধার ছেলে।
নিহত হারুন মৃধার মেয়ে শান্তোপা খানম জানান, কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে মুলাদী উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের সেকেন বয়াতীর ছেলে মাসুম বয়াতীর (৩০) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। মাসুমের সঙ্গে তার মেঝ ভাবির পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে তাকে (শান্তোপা) অমানসিক নির্যাতন শুরু করে মাসুম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক মাস আগে তিনি মাসুমকে ডিভোর্স দেন।
তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে গৌরনদীর হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় তাকে একাকী পেয়ে মাসুম ও তার সহযোগিরা তুলে নেওয়ার জন্য পথরোধ করে টানা হেচরা শুরু করেন। ওইসময় তার বাবা হারুন মৃধার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাধা দেওয়ায় মাসুম তাকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার বাবা হারুন মৃধা মারা যান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।